PM Vishwakarma Yojana Bengali

গ্রামীণ ও শহুরে ভারতের প্রথাগত শিল্পী ও কারিগরদের সহায়তায় নতুন কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘পিএম বিশ্বকর্মা’-য় অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে ১৩ হাজার কোটি টাকা পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের আওতায় আনা হচ্ছে ১৮টি প্রথাগত বৃত্তিকে

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি আজ নতুন কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘পিএম বিশ্বকর্মা’-র অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পে ৫ বছরের জন্য (আর্থিক বছর ২০২৩-২৪ থেকে আর্থিক বছর ২০২৭-২৮) ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল, যেসব কারিগর ও শিল্পী গুরুশিষ্য পরম্পরায় বা পরিবারগতভাবে হাতের কাজ এবং ছোটোখাটো সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের লালন করা ও শক্তি যোগানো। এই প্রকল্প পণ্যের গুণমান বৃদ্ধি এবং তার নাগাল বাড়াতে সাহায্য করবে, একইসঙ্গে বিশ্বকর্মারা যাতে অভ্যন্তরীণ ও বিশ্বব্যাপী মূল্যশৃঙ্খলের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারেন, তাও নিশ্চিত করবে।

পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের আওতায় শিল্পী ও কারিগরদের শংসাপত্র ও পরিচয়পত্র দিয়ে স্বীকৃতি জানানো হবে। তাঁদের ৫ শতাংশ ভর্তুকি সুদে প্রথম দফায় ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড়যুক্ত বিশেষ ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়া এই প্রকল্পে দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা, সরঞ্জামের জন্য উৎসাহ, ডিজিটাল লেনদেনের জন্য উৎসাহ এবং বিপণন সংক্রান্ত সহায়তা দেওয়া হবে।

দেশজুড়ে বিভিন্ন শহর ও গ্রামের শিল্পী এবং কারিগররা এই সহায়তা পাবেন। প্রাথমিকভাবে পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের আওতায় ১৮টি প্রথাগত বৃত্তিকে আনা হয়েছে। এগুলি হল

  • ১) কাষ্ঠ শিল্পী (ছুতোর);
  • ২) নৌকা প্রস্তুতকারক;
  • ৩) অস্ত্র প্রস্তুতকারক;
  • ৪) লৌহ শিল্পী (কামার);
  • ৫) হাতুড়ি ও সরঞ্জাম নির্মাতা;
  • ৬) তালার মিস্ত্রি;
  • ৭) স্বর্ণ শিল্পী (স্যাকরা);
  • ৮) মৃৎ শিল্পী (কুমোর);
  • ৯) ভাস্কর;
  • ১০) চর্মকার;
  • ১১) রাজমিস্ত্রি;
  • ১২) ঝুড়ি/মাদুর/ঝাঁটা নির্মাতা;
  • ১৩) পুতুল ও খেলনা প্রস্তুতকারক (প্রথাগত);
  • ১৪) কেশ শিল্পী (নাপিত);
  • ১৫) মালি (মালাকার);
  • ১৬) রজক (ধোপা);
  • ১৭) পোশাক প্রস্তুতকারক (দর্জি) এবং
  • ১৮) মাছ ধরার জাল নির্মাতা।

SOURCE: https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1949572